আজাদ-হিন্দ ফৌজের সমর-সঙ্গীত
অব্ দিল্লী চলো, দিল্লী চলো, দিল্লী চলেংগে
রোকেন হম কিসী কে রুকেঁ হৈঁ, ন রুকেংগে।
ঝণ্ডা তিরংগা লাল কিলে পৈ উড়ায়েংগে
‘জয় হিন্দ’কে নারোঁ সে ফলক কো হিলায়েংগে।
হিন্দোস্তাঁ মে হিন্দী হী অব রাজ করেংগে
অব্ দিল্লী চলো,··· ··· ··· ··· ··· ··· ··· ··· ···
আগে হী বড়েংগে ন কিসী সে ভী ডরেংগে
হম মৌত কা ভী সামনা হঁস হঁস কে করেংগে।
অব্ পাক জমী পৈ ন উদু পাঁও ধরেংঙ্গে।
অব্ দিল্লী চলাে,··· ··· ··· ··· ··· ··· ··· ···
অংগরেজ চলে জাঁয়, এ হৈ দেশ হমারা।
প্রাণো সে হৈ প্যারা হমে এ জী সে দুলারা।
ইস কে লিয়ে সর রখকে, হথেলী পৈ লড়েংগে।
“ইমানকে বু হিন্দীয়ােমেঁ গরচে রহেগী।
লন্দন পৈ তেগে হিন্দ বঢ়েগী, ঔর পঢ়েগী”
শাহে জফর কে কৌল কী হম শান রখেংগে।
অব্ দিল্লী চলো,··· ··· ··· ··· ··· ··· ···।
ভাবার্থ। দিল্লী, দিল্লী আমি যাব, কোন বাধাই আমি মানব না। লালকেল্লার উপরে ত্রিবর্ণ-পতাকা উড়াব আমি, ‘জয় হিন্দ’ ধ্বনিতে আকাশকেও কাঁপিয়ে দেব, হিন্দুস্থানে এবার হিন্দুস্থানীই রাজত্ব করবে। এগিয়ে যাব, ভয় করব না কাউকে, হাসিমুখে মৃত্যুরও সম্মুখীন হব, আমাদের পবিত্র ভূমিতে শত্রুকে পা রাখতে দেব না। এ দেশ আমার, ইংরেজ চলে যাক, প্রাণের চেয়ে প্রিয়, হৃদয়ের চেয়েও প্রিয় আমার এই দেশের জন্য আমি মৃত্যুপণ করে লড়াই করব। হিন্দুস্থানীদের মধ্যে এতটুকু সততা থাকে তো বাদশাহ্ জাফরের প্রতিজ্ঞা ‘লণ্ডন পর্য্যন্ত হিন্দুস্থানের তলােয়ার এগিয়ে যাবে’—সে প্রতিজ্ঞার আমি গৌরব রাখব।