পুরুষ
অরূপের পরপর তিনবার হাঁচির শব্দে ঘুমের মধ্যেও বিরক্তিসূচক শব্দ করল শুভা।আসলে অরূপের ঠান্ডার ধাতটা বেশী।আর শুভার ঠিক উল্টো।এই জন্য ডিসেম্বরের প্রথমদিক ফ্যান চলে।জুন মাস অবধি চলে এ.সি।যেহেতু ঠান্ডা লাগলে গরম জামা পরে চাদর ঢেকে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচা যায় কিন্তু গরমের হাত থেকে বাঁচার উপায় নেই। তাই অরূপই চাদর চাপা দিয়ে শোয়।কিন্তু অরূপ মুড়ি দিতে পারে না।তাই ফ্যানের হাওয়াটা সরাসরি মাথায় লেগে ঠান্ডা লেগেছে।উঠে পরে অরূপ।গায়ে খদ্দরের চাদরটা জড়িয়ে বারন্দায় এসে দাঁড়ায়।বিকেল শেষ হয়ে এল।সামনের পার্কটায় বাচ্চারা খেলছে।মনটা বিষন্ন হয়ে ওঠে।আজ থেকে পনের বছর আগে খোকাও এখানে এরকমই খেলত।খোকা কাল এসেছিল।খুব কষ্ট পেয়ে চলে গেছে।কাল শুভার প্রেসারটা খুব বেড়েছিল।
খাটে মচমচ শব্দ শুনে অরূপ বোঝে শুভার ঘুম ভেঙেছে।শুভার মুখটা ফোলা ফোলা লাগছে।কাল রাতে ওকে ট্রাইকা দিতে হয়েছিল।একটা বয়সের পর শুভার সুগার প্রেসার আর মেদ তিনটেই বেড়েছে যেমন বেড়েছে অরূপের টাক।অবশ্য মধ্য বয়েসের পর বাঙালী মেয়েদের একটু মোটা না হলে মানায় না।এটা অরূপের মতামত।
অরূপের খুব কফি খেতে ইচ্ছে করছে।কিন্তু শুভা কফি পছন্দ করে না।ও চা ভালোবাসে।অগত্যা চা-ই খেতে হবে।অবশ্য শুভা চা টা বানায় দারুণ।অরূপ জানে এরপর শুভা সন্ধ্যা দেবে।শাঁখে ...ধূপ জ্বালাবে।শুভা তীব্র গন্ধের ধূপ পছন্দ করে।অরূপের হাল্কা গন্ধের ধূপ ভালো লাগে।কিন্তু পূজো অর্চনার ডিপার্টমেন্টটা শুভার।ওটা নিয়ে কথা বলা নিষিদ্ধ।অবশ্য কোন বিষয় নিয়েই বা কথা বলা যায়।যেমন অরূপের খবর দেখতে ভালো লাগে।কিন্তু শুভা দেখবে সিরিয়াল।সিরিয়ালের ফাঁকে যদি কোন ভাবে খবরের চ্যানেলটা একটু ঘোরায় অরূপ অমনি হাঁ হাঁ করে ওঠে শুভা-"সারা দিন তো সংসারের জাঁতাকলে পিষছি।এই সিরিয়াল গুলোই যা একটু রিক্রিয়েশান।এমন চ্যানেল পাল্টালে যে আসল ডায়ালগটাই শুনতে পেলাম না।"
শুভার কথা শুনে অরূপ মনে মনে ভাবে শুভা মনে করে সংসারের জাঁতাকলটা পুরুষরা চালায় আর পিষতে থাকে মেয়েরা।রেশান তোলা, ট্যাক্স দেওয়া, জলের সাপ্লাই কম এলে জল তোলা, মাসে তিনবার পোস্ট অফিসের অমানুষিক লাইনে দাঁড়িয়ে এম.আই. এসের টাকা তোলা...এগুলো কোন কাজ নয়,যেমন কাজ ছিল না দশটা পাঁচটা বাসে বাদুর ঝুলে অফিস করা।আজও টি.ভি তে সিরিয়াল চালিয়ে শুভা বসল আর সকালের কাগজটা নিয়ে অরূপ চলে এল শোবার ঘরে। দ্বিতীয় দফায় কাগজটা পড়ার জন্য।একটু পরেই বসার ঘরের ল্যান্ড ফোনটা বেজে উঠল।শুভাই ধরল।কিছুক্ষন চুপচাপ।তারপর শুভা শোবার ঘরের দরজার কাছে এসে বলল-"তোমার ফোন।"শুভার থমথমে মুখ দেখে বুকের ভিতরটা কেঁপে ওঠে অরূপের।কি জানি আবার কি অশান্তির সূত্রপাত।ফোনটা ধরে। ছোট বোন মনি ফোন করেছে।মনির ছেলের বৌ হাসপাতালে নাতি হয়েছে।কিন্তু বাচ্চাটার জন্মেই জন্ডিস।ডাক্তার বলছে অবস্থা ভালো না।মনি ফোনে কাঁদছে।বিব্রত ভাবে অরূপ মৃদু গলায় সান্ত্বনা দেয়।-"ভগবানকে ডাক।ভগবান সব ঠিক করবে।আমাদের হাতে তো কিছু নেই বল।দেখি শরীরটা খারাপ।শরীরটা ঠিক থাকলে একবার যাব কাল।"ফোন রাখার সময় অনুভব করল শুভার তীব্র দৃষ্টি তার পিঠের উপর বিঁধেছে।মনির বৌএর সাধে অরূপের বড়দাদার বৌকে তিনদিন আগে থেকে নেমন্তন্ন করে গিয়েছিল মনি।তাকে নিয়েই কেনাকাটা,এয়োর কাজ করিয়েছিল।আর শুভাকে বলেছিল সাধের আগের দিন রাত্রে।শুভা আর শুভার বড়জা এর মধ্যে খুব রেষারেষি। কাজেই শুভার কাছে এটা অপমানকর।যায় নি শুভা সাধে।তাতে মনিরও অপমানে লেগেছিল।সেও শুভার সঙ্গে কথা বন্ধ করে দিয়েছে।ননদ ভাজের এই মান অভিমানে উলুখাগড়া অরূপের প্রাণ ওষ্ঠাগত। বোনকেও কিছু বলতে পারে না।নিজেও অশান্তির ভয়ে যোগাযোগ করে না ভয়ে।শুভাকেও কিছু বলতে পারে না।শুভার মা বাবা কেউ নেই। এখন তো অরূপই তার বাবা মা ভাই বোন বন্ধু সব কিছু। শুধু তাই নয় সে নিজে তো জানে সুধার তার প্রতি তার সংসারের প্রতি খুব যত্ন, খুব মায়া। অরূপকে সুধা যে যত্নে রেখেছে, যে মমতায় ঘিরে রেখেছে শৈশবে মাতৃহারা অরূপ আর কোথাও সেটা পায় নি। সুধার এক কাকিমা ঠাট্টার ছলে অরূপকে ব্যাঙ্গ করেছিল বলে সুধা আর কখন তার সাথে যোগাযোগ রাখে নি। অরূপের অসুখ করলে পাগলের মত করতে থাকে। যখন খোকা ছিল তখন তবু শুভার একটা অবলম্বন ছিল।একটা সাথী ছিল।ছেলের আঠেরো বছর অবধি মা ছেলের একটা আলাদা জগৎ ছিল যেখানে অরূপ ছিল অতিথি।
আঠারোর পর ছেলের একটা নিজস্ব জগৎ তৈরী হয়েছিল।কিন্তু মা ছেলের বন্ধুত্বটা অটুট ছিল।এমনকি রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের কথাটাও খোকা মাকেই বলেছিল।বাবাকে বলতে লজ্জা পেয়েছিল।বিয়ের আগে যে দুবার রিয়া এবাড়িতে এসেছিল সেই দুবারই শুভার সাথেই দেখা করতে।কারণ অরূপ তখন অফিসে।বিয়েটা শুভা খুব ধুমধাম করে দিয়েছিল।বিয়ের পর ভালোই চলছিল।রিয়া মেয়েটাকে ভালোই লেগেছিল অরূপের। রিয়া দিল্লীতে বড় হয়েছে তাই ওর চাল চলন আর পাঁচটা মেয়ের থেকে একটু আলাদা।শুভাও সেকেলে না।মাসে দুবার পার্লারে যায়,বাইরে বেড়াতে গেলে চুড়িদার পরে,বাড়িতে ম্যাক্সি পরে।তাই বৌএর জিন্স টপ পরা কিম্বা লঙ স্কার্ট পরাটাকে সে খারাপ ভাবে দেখেনি।কিন্তু গরমকালে যখন রিয়া বাড়িতে হট প্যান্ট আর গেঞ্জি পরা শুরু করল তখন সেটা আর মানতে পারল না শুভা।রিয়াও আশ্চর্য হয়ে গেল কারোর পোশাকপরিচ্ছদ নিয়ে কি করে একজন মানুষ এরকম ব্যাকডেটেড মন্তব্য করতে পারে।খোকা শুভাকে অনেক বোঝাতে চেষ্টা করল।শুভা গম্ভীর মুখে দরজা দিল।রিয়াও মুখ ভার করে রইল।খোকা আর অরূপ দুজনেরই তখন হেল্পলেস লাগে।এর মধ্যে সমস্যা আরো পেকে উঠল যখন একদিন রিয়ার ঠান্ডা লেগে জ্বর হল।শুভা বাড়ির সবাইকে বিখ্যাত হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের চিকিৎসা করায়।রিয়াকেও তাই করালো।কিন্তু রিয়ার বাবা খবর পেয়ে এসে বললেন-"এই দুদানা চিনির ডেলা খেয়ে পরে থাকলে যদি রোগ সারত তবে কথা ছিল না।"খুব অপমানে লাগল শুভার।রিয়ার বাবা রিয়াকে নিয়ে চলে গেলেন।রাতে খোকা বাড়ি আসতে শুভা সব বলল।খোকাও বিরক্ত হল।রিয়াকে নিয়ে যাবার কি ছিল।তারা কি বিনা চিকিৎসায় ফেলে রেখেছিল?খোকা রাগ করে দেখতে গেল না।ফোনে খবর নিল।ফোনে খোকার বিরক্তি দেখে রিয়া কেঁদে ফেলল।তার অসুখের থেকে বড় ব্যাপার সে কেন চলে এসেছে!! অরূপ খাবার টেবিলে বসে দেখেছিলেন খোকার অসহায় মুখ।রিয়ার কান্নার হালকা শব্দও কানে এসেছিল।পরেরদিন খোকা অফিস ফেরত রিয়াদের বাড়ি গেল।রাতে ফোন করে জানাল রিয়ার শরীর খারাপ। কাল অফিস করে রাতে বাড়ি ফিরবে।শুভা উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দিল।পরের দিন অফিস থেকে ফিরে খোকা বেশ কয়েকবার মাকে রিয়ার শরীর খারাপের ব্যাপারে কথা বলতে গেল।কিন্তু শুভার উদাসীন চুপ করে থাকায় সে কথা এগোল না।এর পর রিয়াও বাড়ি ফিরে অন্য রকম ব্যবহার শুরু করল।শুভা রোজ সকালে লুচি তরকারী টিফিন করে। রিয়া তেল মশলাদার খাবার খেত না।ও ওটস,কর্ণফেক্স এসব খেয়েই অভ্যস্ত।কিন্তু ও শুভাকে বলেছিল -"মা আমার জন্য আলাদা করতে হবে না।তুমি লুচির বদলে আমাকে রুটি দিও।"সেই রকমই খেত এতদিন। কিন্তু এবার বাপের বাড়ি থেকে এসে নিজের জন্য আলাদা স্যন্ডুইচ পাস্তা এসব টিফিন করার ব্যবস্থা করে নিল ও।অসম্ভব হাঁড়ি মুখ হল শুভার।বাড়িতে একটা ঠান্ডা লড়াই চলছিল শ্বাশুড়ি বৌএর মধ্যে।আর সেই লড়াইএ দুই দলের দুই সেনাপতি অরূপ আর খোকা যন্ত্রণায় মরে যাচ্ছিল।রিয়া সকালে ব্রেকফাস্ট বানিয়ে খোকাকে বলে-'তোমারটা করব?"খোকা মৃদু গলায় বলে-"না থাক।"শুভা খোকার খাবার খোকার ঘরে পাঠিয়ে দেয়।একসাথে বসে আর ব্রেকফাস্ট হয় না।সন্ধ্যায় শুভা টি.ভি তে সিরিয়াল দেখে।রিয়া ঘরে বসে কম্পিউটারে খেলা দেখে।রিয়া বলে-"বাবা তুমি খেলা দেখবে?"প্রবল ইচ্ছেকে দমন করে অরূপ বলে-"না রে মা,আজকাল টি.ভি এর আলো চোখে লাগলে চোখ জ্বালা করে।"
পরিস্থিতিটা হঠাৎই একদিন কেমন স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল যেদিন বাথরুম থেকে বেরোতে গিয়ে রিয়া মাথা ঘুরে পরে যাচ্ছিল আর শুভা ওকে দুহাতে ধরে ফেলে।অরূপ তাড়াতাড়ি রিয়ার বাপের বাড়ির ডাক্তারকে খবর দিয়েছিলেন।ডাক্তার দেখে বলেছিল অসুখটা অত্যন্ত সুখের।শুভা খুশী হয়ে উঠেছিল।রিয়ার মুখেও মিষ্টি লাজুক হাসি।অরূপ আর খোকা সুখের স্বর্গে ভাসছিল পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে দেখে।তিনটে মাস স্বর্গসুখে কেটেছিল।তারপর একদিন রিয়ার দিদি জামাইবাবু রিয়া আর খোকাকে নিয়ে পুরী বেড়াতে যাবার প্রস্তাব আনলেন।শুভা বেঁকে বসল-"না না একেবারেই না।বাচ্চা হয়ে যাক তারপর যাবে।"রিয়ার জামাইবাবু সে কথা ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিলেন।বললেন-"এখন লোকে লাস্ট ডেট অবধি ঘুরছে বেড়াচ্ছে।আর এতো আর্লি স্টেজ।"
ওরা গিয়েছিল।আর শুভার সন্দেহটাই সত্যি হয়েছিল।বাই কার রিয়াকে কলকাতায় আনতে হয়েছিল।রিয়া ভেঙে পড়েছিল শরীরে মনে।আর তার মধ্যে কানে এসেছিল শুভার মন্তব্য-"ভালোই হয়েছে সে আসে নি।নইলে এদের ফূর্তির অসুবিধে হয়ে যাচ্ছিল।এত অবহেলা... ভালোই হয়েছে সে আসে নি।"পাথর হয়ে গিয়েছিল রিয়া।সে কি তার নিজের সন্তানকে মেরে ফেলেছে?না,সে চেয়ে আনে নি এই সন্তান।কিন্তু আসার খবরে খুশীই হয়েছিল।প্রথম সন্তান চেয়েছিল তাকে পৃথিবীতে আনতে।কিন্তু একজন মা হয়ে কি করে একজন মাকে শুভা বলতে পারেন.....
রিয়া নার্সিংহোম থেকে ডাইরেক্ট বাপের বাড়ি চলে যায়।এবাড়িতে শুভার সাথে একছাদের নীচে সে থাকবে না।খোকা একদিন বলে-"মা আমার অফিসটা তো এখান থেকে অনেক দূর হয়ে যাচ্ছে, যাতায়াতেও খুব অসুবিধা হচ্ছে।অফিস ওদের ওখানে একোমোডেশান দিচ্ছে।আমি ভাবছিলাম...ইয়ে মানে সপ্তাহে পাঁচ দিন...যদি ওখানে..."
শুভা উঠে গিয়ে দরজা দিয়ে দিয়েছিল।খোকা আর অরূপ নীরব মুখোমুখি বসে ছিল।টি.ভি নিজের মত কথা বলে যাচ্ছিল।রাত বেড়ে চলল শুভা দরজা খুলল না।খোকাকে অরূপ বলে-"বাবা তুই উবের নিয়ে চলে যা।এর পর আর রাত হয়ে গেলে যাওয়াটা প্রবলেম হয়ে যাবে।"খোকা বিভ্রান্তের মত তাকায় একবার বন্ধ দরজার দিকে,একবার বাবার মুখের দিকে।অরূপ ছেলের কাঁধে হাত রাখে। খোকা বুটের ফিতে বাঁধতে বাঁধতে আবার তাকায় বন্ধ দরজার দিকে জল ভরা চোখে। অরূপ কাঁধে চাপ দেয়।বলে-"আমি তো আছি।ঠিক সামলে নেব।"মনে পরে যায় হাই স্কুলের প্রথমদিন খোকা ঠিক এই রকম বারবার পিছন ফিরে দেখছিল আর অরূপ এরকম করেই হাত রেখেছিলেন কাঁধে।
খোকা এরপর যতবার এসেছে ততবার শুভা চা করে দিয়েছে,পাঁপড় ভেজে দিয়েছে,আর তারপর টি.ভি খুলে বসে থেকেছে।অরূপের মত স্বল্পবাক মানুষটা এখন অনেক কথা বলা শিখে নিয়েছেন।তিনিই কথা বলে যান ছেলের সাথে।তারপর ছেলে যখন একসময় উঠে চোরের মত চলে যায়,শুভাও ঘরে গিয়ে আলো নিভিয়ে শুয়ে থাকে।অরূপের জীবনে নেমে আসে অখন্ড নীরবতা।খোকা মাইনে পেয়ে টাকা দিতে এসেছিল।মায়ের হাতে দিতে সাহস হয়নি।টেবিলে রেখেছিল।শুভা ছেলে যাবার পর অরূপকে বলেছিল-"তুমি তো এখনো পেনশান পাও।রিয়ার দয়ার টাকা না নিলে কি আমার ভাত জুটবে না?"টাকাটা খোকার হাতে ফেরত অরূপও দিতে পারে নি।খোকার একাউন্টে ফেলে দিয়েছিল।ফোনে বলেছিল-"এখন তো লাগছে না।দরকার হলে চেয়ে নেব।"
অরূপের মনে আছে তার মা বলতেন মেয়ে মানুষের জীবনটাই নাকি মানিয়ে নেওয়া।অরূপ ভাবেন মেয়েরাই কি শুধু মানিয়ে নেয়।মা বাবাকে ছেড়ে শ্বশুরবাড়ি যাওয়া মেয়ের যন্ত্রণার থেকে বাবা মা কে ছেড়ে যাওয়া ছেলের যন্ত্রনা কি কম?আসলে এখন মনে হয় বিখ্যাত সাহিত্যিকের কথাই সত্যি-"জমি বাপের নয় দাপের।"সংসারে যার দাপ তারই জোর।কিন্তু আপনজনদের সাথে কি সব সময় জোর খাটানো যায়...সবাই কি পারে...জানে না অরূপ...শুধু জানে মনকেমন শব্দটা মেয়েদের এক চেটিয়া।তাই পুরুষ হতে হলে অনেক কষ্ট গিলে নিতে হয়।