আগুনপাখি by হাসান আজিজুল হক, chapter name ছেলে চলে গেল শহরে

ছেলে চলে গেল শহরে

ফিরে এসে শ্বশুরবাড়িতে কাউকে কিন্তুক সিসব কথা কিছুই বলি নাই।

শুদু বললম, ছেলেদের আর মন টিকছিল না, স্কুলও খুলবে তাই চলে অ্যালম। কত্তা কিছু বুঝেছিল কিনা জানি না। কিছুই শুদোয় নাই আমাকে। উ তো কিছু শুদোবার মানুষ লয়! শাশুড়ি-ননদও কোনো কথা বললে না।

বাড়ি এসে শোনলম, বড় খোঁকার গাঁয়ের স্কুলে ল্যাখাপড়া ভালো হচে না। উকে শহরের বড় স্কুলে নিয়ে যেয়ে ভত্তি করা হবে। আমার ছোট দ্যাওরটো পড়েছিল শহরের যি স্কুলে সিখানেই পড়তে যাবে খোঁকা। দ্যাওরের ত্যাকন স্কুলের পড়া শ্যাষ হয়েছে। সে আর আমার ছোট ভাইটি তো একসাথেই শ্যাষ পরীক্ষা দেবে। মেট্রিক না এনট্যান্‌স কি পরীক্ষা যেন। আর এই পরীক্ষার লেগেই আমার বাপের বাড়িতে এত ধুন্দুমার কাণ্ড হয়েছিল। সেই পরীক্ষা হয়ে গেলেই দ্যাওর চলে আসবে বাড়িতে। তা বাদে পাশ যেদি দিতে পারে, তাইলে কলেজে পড়বে। স্কুলের কাছে যে বোডিংয়ে থাকত, সেই জায়গাটো খালি হচে। বড় খোঁকা সেইখানে থাকবে আর সেই স্কুলে পড়বে।

খরবটো শোনা অব্‌দি কি যি হতে লাগল বুকের মদ্যে! সি আর কাকে বলব? পাখি এইবার বাসা ছেড়ে উড়ে যেচে। আর কি বাসায় ফিরবে মায়ের বুকের তলায়, আর কি নিশ্চিন্তে ঘুমুবে? কিন্তুক আমার বড় খোঁকা উড়বে কি, তার তো অ্যাকনো পাখাই হয় নাই। অত বড় ছেলে, অ্যাকনো খাইয়ে দিতে হয়। আমি না দিলেও দাদি, ফুফু, নাইলে কুনো চাচি খাইয়ে দেয়। আজকাল কারু কাচে খেতে চাইছে না কিন্তুক নিজে খেতে গেলে ফেলে ছড়িয়ে একাকার। উ ছেলে কি সত্যি বড় হয়েছে, কেউ কাছে ডাকলে একেবারে বুকের কাছে চলে যায়, কেউ অ্যাকটো ধমক দিলে মুখটো শুকিয়ে কেমন হয়ে যায়। তাড়াতাড়ি কুনো কাজ করতে বললে এমন হাঁপুচাপু করে যি দেখলে মায়া হয়। ছেলে যেন দুনিয়ার সবার কাছে অপরাধী হয়ে আছে। মুখে কথা নাই, দু-একটো কথা যা বলে তা আবার শোনাই যায় না। ই ছেলে কি করে বিদ্যাশ-বিভুঁইয়ে থাকবে? মাথায় নোম্বা অ্যানেকটে হয়েছে বটে, দীঘল শরীল, কাঁচ-পরানি গায়ের রঙ, টানা দুটি চোখ যেন ঘুমিয়ে থাকার মতুন।

কেউ কি উকে বড় হতে দ্যাখে? একটু একটু করে কেমন বাড়ছে? পিতি রেতে চাঁদের বাড়ার মতুন। জামা-পেন্টুলুন ছোট হয়ে যেচে, খালি গায়ের পাঁজর বোঝা যেচে– ইসব কি কেউ দ্যাখে? আমি যি দেখি। দূর থেকে দেখি, কাছ থেকে দেখি। খোঁকা কুনোদিন জানতেই পারে না। উসারার এক কোণে জানেলার ধারে বসে একমনে বই পড়ছে, কাজ করতে করতে একবার একবার থেমে আমি একদিষ্টে খোঁকার মুখের দিকে দেখি। চোরের মতুন দেখি। যেই বই থেকে মুখ তুলে ইদিকপানে তাকিয়েছে, অমনি আমি যেন কতোই না কাজে মন দিয়েছি!

বড় খোঁকা য্যাতোদিন ছোট ছিল, কুনোদিন দেখি নাই যি কত্তা ছেলের দিকে তাকিয়ে দেখলে। ছোট ছেলেমেয়ে, কি আমার কি অন্য মানুষের, সে কুনোদিন ঘাঁটাঘাঁটি করতে পারত না। আমি মনে করতম, মানুষটো কি পাষাণ! তা সেই কত্তাই আমার কাছে একদিন ধরা পড়ে গেল। দেখলম, আড়াল থেকে ছেলেকে দেখছে। সি যি এমনি দেখা লয়, তা আমি কত্তার দু-চোখের তাকানো দেখেই বোঝলম।

তা যাকগো, ইসব কথা আর বলে কি হবে। ছেলের শহরে যাবার দিন এগিয়ে এল। পরীক্ষা লিকিনি দ্যাওর আর আমার ভাই একসাথেই দেবে। আজকালেই বড় খোঁকাকে স্কুলে ভত্তি করে দিয়ে আসতে হবে। দেরি হলে হবে না।

যিদিন সকালে যাবে সিদিন আর হেঁটে ইস্টিশনে যাবে না। এমনিতে কত্তা হেঁটে যেয়েই ইস্টিশনে টেরেন ধরে, আজ ছেলে নিয়ে বিশেষ কাজে যেচে, সেই লেগে মোষের গাড়ি করে যাবে। ছেলের লতুন জামা-পন্টুলুন হয়েছে, সকালেই গা-ধোয়া হয়েছে, জামা-কাপড় পরা হলে, ওর বাপ মাথা আঁচুড়ে দিলে। আমার কি যি মন হতে লাগল ছেলের চোখে কাজল দিয়ে দি, তা ধমক খাবার ভয়ে সি কথা। বলতেই পারলম না।

যাবার সময় হলে দাদি, ফুফু, চাচা, চাচিরা এল, সবাই খোঁকার মাথায় হাত দিলে, কপালে চুমু খেলে, দাদি-ফুফুর চোখে পানি এল কিন্তুক আমি কিছুই করতে পারলম না। বুকে কি যেন আটকে গেয়েছে। পাথর লিকিনি, কই কাঁদতেও যি পারচি না! চারদিকে কি হচে কিছুই বুঝতে পারচি না, সব ছেঁয়া ছেঁয়া। কত্তা খুব তাড়া দিতে লাগল। এও তার ছল। কেঁদেকেটে একাকার করে যাবার সোমায়টো না লষ্ট করে ফেলে কেউ, এই লেগে সে আমন তাড়া দেয়। খোঁকাকে নিয়ে সবাই ঘর থেকে বেরুবে, এমন সোমায় খোঁকা টুক করে আমার কাছে এল। একদম বুকের কাছে এসে বললে, মা যেচি। চোখের পানিতে সব এমন ছয়লাপ হয়ে গেল যি, হ্যাঁ বাপ, যাও, ই কথাটিও বলতে পারলম না।

গাড়ি খামার পেরিয়ে চোখের আড়ালে চলে গেলে একটো তরাস এসে বুকে ঢুকল। কিসের যি তরাস তা জানি না। কিন্তুক শুনলে কেউ পেত্যয় যাবে না, সেই তরাস আমার সারা জেবনেও আর গেল না।

কত্তা ফিরে এল সেইদিনই অ্যানেক রেতে। এমন আঁদার রেতে ইস্টিশন থেকে এক কোশ পথ হেঁটে কেমন করে যি বাড়ি এল, সি সেই-ই জানে। রাস্তা নাই, মাঠঘাট ভেঙে আসতে হয়। সাপ-খোপে ভরা ই জায়গা। কিন্তু কুনো ভয়-ভিত ছিল না উ মানুষের। হেরিকেন নিয়ে কেউ এগিয়ে আনতেও তো যেতে পারত ইস্টিশনে! তা-ও কাউকে করতে দেবে না।

বড় খোঁকা সিদিনই স্কুলে ভত্তি হয়ে গেয়েছে। বোডিংয়ে থাকার বেবস্থা-ও হয়েছে। বড় খোঁকার চাচা, আমার ছোট দ্যাওর, অ্যাকন-ও তো রয়েচে, তার পরীক্ষা শ্যাষ হলে তার জায়গাতেই থাকবে ছেলে— এইসব ঠিক করে এয়েছে কত্তা। দেখলম, তার মনে খুব আনন্দ। ছেলের ল্যাখাপড়ার ভালো বেবস্থা হয়েছে। সে একদিন নিশ্চয় জজ-ম্যাজিস্টেট হবে! 
ইদিকে আমি কি করি, কি করে থাকি, কি করে বাঁচি! সারা দিনে যেদি একবারও তার মুখটো দেখতে না পাই, তাইলে কি বাঁচতে পারি, হায়!

কেমন কপাল, ঠিক পরের দিনই দোপরের আগে লোক এসে খবর দিলে আমার ছোট ননদের সংকট-ব্যায়রাম। আবস্তা খুব খারাপ হয়েছে। এই খবর নিয়ে রাত থাকতে থাকতে গাঁ থেকে রওনা হয়েছিল লোক। পড়ি-মরি পাঁচ কোশ রাস্তা এসে খবরটো কুনো পেরকারে দিতে পারলে। আমার এই ছোট ননদটি যেমন সোন্দরী, তেমনি ভালোমানুষ। ভারি মিষ্টি স্বভাব আর কি সেবা যি করতে পারত মানুষের! সি আবস্তাপন্ন বড় ঘরেই পড়েছিল। আমার পরের খোঁকার জন্মোর দু-এক বছর আগেই তার একটি খোঁকা হয়েছে, আর এই বছরটাক আগে আরও একটি খোঁকা এয়েছে তার কোল জুড়ে। ভরা সুখের সোংসার- ইয়ার মদ্যে এই মরণ-অসুখের খবর!

খবর শুনে কত্তা কি যি অস্থির হয়ে পড়ল সি আর কি বলব। বড় বড় আপদ-বেপদেও যি লোক স্থির থাকে, মাহা ভয় পেলেও যি লোককে দেখে সবাই সাওস পায় সেই লোক কি যি খ্যাপাখেপি করতে লাগল!

আমি এখুনি যাব, আমার ঘোড়া ঠিক করতে বলো, এক কাপড়ে যাব।

কথা বলতে বলতে কত্তা ছুটে বাড়ির মদ্যে ঢুকে মা-বুনকে শুদু যেচে এই কথাটি জানালে। শাশুড়ি ননদ পাথরের মতুন দাঁড়িয়ে থাকলে, ভাইরা যারা বাড়িতে ছিল, একটি কথাও কেউ বলতে পারলে না- কত্তা শুদু ধুতি-জামাটো বদলে আর মনে হলো বাক্‌সো খুলে য্যাতো জমা টাকা ছিল সব বার করে নিয়ে খামারে যেয়ে দাঁড়াইলে। ত্যাতোক্ষণে ঘোড়ায় জিন পরানো হয়ে গেয়েছে, মাহিন্দারটি লাগাম ধরে দাঁড়িয়ে আছে। আর কুনো কথা না বলে কত্তা যেয়ে ঘোড়ায় উঠল। ঘরের ভেতর থেকে শুদু ঘোড়া ছোটার আওয়াজ প্যালম।

ওমা, ই কি কাণ্ড, সিদিনই রাত দোপরে দেখি কত্তাকে নিয়ে ঘোড়া ফিরে এয়েছে। খামারের দিকে পরচালির ছামনে ঘোড়াটো কখন দাঁড়ালে তা কিছুই বুঝতে পারি নাই। একবার যেন অ্যাকটো হিঁ হিঁ আওয়াজ প্যালম। দরজা খুলে বেরিয়ে আঁদারের মদ্যে দেখি, ঘোড়া কেমন ছটফট করচে আর তার পিঠে বসে মাতালের মতুন দুলছে অ্যাকটো মানুষ। সাথে সাথে আমি বুঝতে পেরেচি আমার সব্বোনাশ হয়েছে। ত্যাকন একবার এমন চেঁচিয়েছেলম যি বাড়ির সবাই হাউমাউ শোর করে জেগে উঠল। ঘরের হেরিকেন হাতে নিয়ে বাইরে এসে দেখি সবাই খামারে এসে গেয়েছে। ঘোড়া আর ঘোড়ার পিঠে সওয়ারি ত্যাকনো টলমল করে দুলছে। দ্যাওর-রা সব ছিল, ভাশুরও রয়েছে— সবাই ছুটে যেয়ে কত্তাকে ধরলে। ঘোড়া ত্যাকন হাঁটু দুমড়ে বসে পড়েছে। কত্তার জামা-কাপড় ছেড়া, সারা গায়ে ধুলো-কাদা, শরীরের নানা জায়গা ছিড়ে ফেটে গেয়েছে, সেইসব জায়গা থেকে রক্ত ঝুঁঝিয়ে পড়ছে। ঘোড়ার আবস্তা আরও কাহিল। তারও সারা গায়ে কাদা মাখা, ইখানে-ওখানে রোঁয়া উঠে গেয়েছে, রক্ত ঝরছে তারও দ্যাহ থেকে। তা-পরে যা ঘটল সি কথা মনে হলো অ্যাকনো আমার সারা গায়ে কাঁটা দেয়, দমটো আটকে আসে। সবাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলম, 
বেশি সোমায় গেল না ছটফট করতে করতে মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা তুলে ঘোড়াটা যেন কলজে ফেটে মরে গেল। কিন্তুক ত্যাকন তাকে নিয়ে কে ভাবে। কত্তাকে নিয়েই তো কান্নাকাটা পড়ে গেল।

কত্তা শ্যাষ পয্যন্ত সুস্থির হলো বটে কিন্তুক আজও জানি না কেমন করে এই মাহাবেপদ পার হয়েছেলম। যাবার পথে ঘোড়াকে একবার থামতে দেয় নাই কত্তা। সপাৎ সপাৎ করে খালি চাবুক মেরেছে, আর গাঁয়ের ভেতর দিয়ে, মাঠের ভেতর দিয়ে, আমবাগান কলাবাগানের মদ্যে দিয়ে ঘোড়া ছুটিয়েছে। থামতেও দেয় নাই, মাঠের পুকুরে পানি খেতেও দেয় নাই, একবার কুনো বটপাকুড়ের ছেঁয়ায় দাঁড়ায়ও নাই। এই করে ঠিক বৈকালবেলায় বুনের শ্বশুরবাড়ির গাঁয়ে বড় দিঘির উচু পাড়ে যেয়ে সে দাড়ালে। বাড়িটোকে ওখান থেকে দেখা যায়। দোতলা মাঠকোটাটো-ও দেখা যেছিল। গাঁয়ের একমাত্র টিনের চালের বাড়ি। ঘোড়া থামিয়ে একদিষ্টে কত্তা চেয়েছিল জানের জান ছোট বুনের বাড়ির দিকে। ত্যাকন বহু লোক যেছিল সিদিকে। শুদু একজনা এয়েছিল কত্তার কাছে। কত্তা তাকে কিছুই শুদোয় নাই, তবু সে বলেছিল, উদিকে তাকিয়ে কি দেখছেন- উ বাড়ির বড় বউটি এই খানিক এগু মারা গেয়েছে।

কত্তা আমাকে পরে বলেছিল, লোকটোর একটো কথাও ত্যাকন সি বুঝতে পারে নাই। চুপ করে তার দিকে এমন করে চেয়েছিল যি, সে ভয় খেয়ে গেল আর যি কথা বলেছিল, সি কথাটো আরও একবার বলেছিল। কত্তা তেমনি করেই দাঁড়িয়ে। তা-বাদে কেমন করে কি কথা মাথায় ঢুকল সে বলতে পারবে না, শুদু একটো কথা মাথায় যেন চিরিক করে উঠল, ইখানে আর লয়, উ বাড়িতে যাব না, যাব না, হরগিজ যাব না, বুনের মরামুখ আমি দেখতে পারব না। ঘোড়ার মুখটি ফিরিয়ে চাবুক কষে তাকে ছুটিয়ে দিয়েছিল কত্তা।

এমন ঘটনা ঘটে গেল সোংসারে, তবু একটো দিন কি থেমে থাকলে? দিন ঠিকই চলে গেল। মানুষের সয় না কি? সোমায়ে সবই সয়। দুনিয়াদারির দায় কি ঠেকানো যেচে? সেই কাজ করতে হবে, খেতে হবে, শুতে হবে, ঘুমুতে হবে- কোন্‌টো বাদ যেচে? শোক একটু সয়ে এলে মাস তিনেক বাদে কত্ত দুই ভাগ্নেকে ই সোংসারে চেয়ে নিয়ে এল। বুন গেয়েছে, গেয়েছে, তার তো আর কুনো চারা নাই। ভাগ্নেদুটির একটি পাঁচ বছরের আর একটি দ্যাড় বছরের। দুটিই খোঁকা। ফুটফুটে রাজপুত্তুরের মতোন এই দুই খোঁকাই হলো বুনের চেহ্ন এই দুনিয়ায়। চোখ-মুখ চেহারায় বুনের কথাটি মনে পড়ে। অ্যাকন থেকে ওরা ই বাড়িতেই মানুষ হবে। বড় হলে যা তাদের মন চায়, তারা তাই করবে। যেতে চাইলে নিজেদের সোংসারে ফিরে যাবে।

ছেলেদুটিকে আনতে তেমন কুনো বাধা হয় নাই। বিরাট আবস্তা হলেও বুনটির শ্বশুরবাড়িতে লোকজন তেমন নাই। ছোট ভাই নিঃসন্তান। জানাই গেয়েছে আর ছেলেপুলে হবে না। ইদিকে দুই সন্তান রেখে বড় বউ চলে গেয়েছে দুনিয়া ছেড়ে। লতুন করে আবার বিয়ে-থা সোংসার করার কুনো ইচ্ছা নাই বড় ভাইয়ের। তাইলে নাবালক ছেলেদুটিকে দেখে কে? কত্তা বাপ-চাচাকে এইসব বুঝিয়ে ভাগ্নে-দুটিকে এনে নিজের সোংসারের বিধবা-বুন, আমার মেজ ননদের কাছে ফেলে দিলে। বললে, এরাই এখন তোর দুই ছেলে। এদের তুই মানুষ কর। কথা শুনে বিধবা-বুন— কতো ভুক-পিয়াসি ছিল– ছেলেদুটিকে বুকে টেনে নিলে। ই বাড়ির আর সব ছেলেপুলের মতো তারাও বড় হতে লাগল।