আঠাৱো
৩ কোরীয় যুবকের রাষ্ট্রিক মত
কোরীয় যুবকটি সাধারণ জাপানীর চেয়ে মাথায় বড়ো। ইংরেজি সহজে বলেন, উচ্চারণে জড়তা নেই।
আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলুম, “কোরিয়ায় জাপানী রাষ্ট্রশাসন তােমার পছন্দ নয়?”
“না।”
“কেন। জাপানী আমলে তােমাদের দেশে পূর্বেকার চেয়ে কি ব্যবস্থা ভালো হয় নি।”
“তা হয়েছে, কিন্তু আমাদের যে দুঃখ সেটা সংক্ষেপে বলতে গেলে দাঁড়ায়, জাপানী রাজত্ব ধনিকের রাজত্ব। কোরিয়া তার মুনফার উপায়, তার ভােজ্যের ভাণ্ডার। প্রয়ােজনের আসবাবকে মানুস উজ্জ্বল করে রাখে, কারণ সেটা তার আপন সম্পত্তি, তাকে নিয়ে তার অহমিকা। কিন্তু মানুষ তো থালা বটি বাটি কিংবা গাড়োয়ানের ঘােড়া বা গােয়লের গোরু নয় যে, বাহ্য যত্ন করলেই তার পক্ষে যথেষ্ট।”
“তুমি কি বলতে চাও, জাপান যদি কোরিয়ার সঙ্গে প্রধানত আর্থিক সম্বন্ধ না পাতিয়ে তোমাদের ’পরে রাজপ্রতাপের সম্বন্ধ খাটাত, অর্থাৎ বৈশ্যরাজ না হয়ে ক্ষত্রিয়রাজ হত তাহলে তােমাদের পরিতাপের কারণ থাকত না।”
“আর্থিক সম্বন্ধের যােগে বিরাট জাপানের সহস্ৰমুখী ক্ষুধা আমাদের শােষণ করে, কিন্তু রাজপ্রতাপের সম্বন্ধ ব্যক্তিগত, সীমাবদ্ধ; তার বােঝা
১৩৫